মুরাদিয়ায় মাদ্রাসা বাবুর্চির বেত্রাঘাতে শিশু শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি

| আপডেট :  ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৫০  | প্রকাশিত :  ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৪২

পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর দুমকিতে মাদ্রাসা থেকে না বলে বাড়িতে যাওয়ার কারণে আবুবকর সিদ্দিক (১১) নামে এক ছাত্রকে বেত দিয়ে বেধড়কভাবে পিটিয়ে জখম করেছেন ওই মাদ্রাসার বাবুর্চি ফিরোজ।

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম মুরাদিয়া গ্রামের ৪ নং ওয়ার্ডের হাসেমিয়া ছালেহিয়া হিফজুল কুরআন মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।

পরে আহত মাদ্রাসা ছাত্র আবুবকর সিদ্দিককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে পরিবারের লোকজন। অভিযুক্ত মাদ্রাসার বাবুর্চি ফিরোজ মুরাদিয়া ইউনিয়নে ৪ নং ওয়ার্ডের আক্কেল আলী দেওয়ানের ছেলে। বর্তমানে ফিরোজ পলাতক রয়েছে।

মাদ্রাসা ছাত্র আবু বকর সিদ্দিকের বাবা আবুল কালাম জানান, ২১ ফেব্রুয়ারী দিন মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় আবু বকর সিদ্দিক তার মায়ের সাথে দেখা করতে বাড়িতে আসে। সকালে আবু বকরের দাদা আব্দুর রহমান তাকে মাদ্রাসায় দিয়ে আসে। কিন্তুু তার কিছুক্ষণ পরে শুনি বাবুর্চি ফিরোজ আমার ছেলেকে বেত দিয়ে বেধড়ক ভাবে পিটায়।

আহত ছাত্র আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আজ সকালে মাদ্রাসায় যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই বাবুর্চি ফিরোজ বলে তুই গতকাল না বলে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি গেছো। এই বলে আমাকে বেত দিয়ে পিঠে পিটাতে থাকে। ফিরোজ আঙ্কেলের কাছে মাফ চাইলেও সে আমাকে মারতে থাকে।

এদিকে অভিযুক্ত বাবুর্চি ফিরোজের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে গেলে তিনি ফোন রিসিভ না করে বন্ধ করে রাখেন।

হাসেমিয়া ছালেহিয়া হিফজুল কুরআন
মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আবু জাফর বলেন, মাদ্রাসা থেকে যদি কোন ছাত্র না বলে বাড়ি যায় সেটা শিক্ষকরা বুঝবে তাতে একজন বাবুর্চি তো তার গায়ে হাত তুলতে পারে না। এবিষয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার মাগরিব বাদ কমিটির সকলকে নিয়ে ওই বাবুর্চির বিচার করা হবে জানান।

এবিষয়ে দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ আবদুস সালাম জানান, বিষয়টি শোনার পরই হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিবার থেকে অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত