সোনারগাঁয়ে পুলিশের ভয় দেখিয়ে ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি, থানায় অভিযোগ

| আপডেট :  ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৪:৪৪  | প্রকাশিত :  ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৪:৪৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ: সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর মোতালেব মার্কেটে মুজিবর নামের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পুলিশের ভয় দেখিয়ে দেড় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে রাসেল ও তার ৪ সহযোগী।

এ সময় দাবি কূত টাকা দিতে অস্বীকার করলে সন্ত্রাসীরা ব্যবসায়ীকে মারপিট শুরু করে। চিৎকার শুনে মার্কেট মালিকের ছেলে তাজুল ইসলাম বাধা দিলে লোহার রড় দিয়ে তাজুল ইসলাকে মাথায় আগাত করে আহত করে। ওই দোকানের মালামালও তছনছ করে ক্যাশ থেকে ৭৫ হাজার লুট করে নিয়ে যায়।

এই ঘটনা ঘটে, বুধবার (২২ ফেব্রুয়ার) উপজেলারমোগরাপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর এলাকায় মোতালেব মার্কেটে। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী।

ভুক্তভোগী মোঃ মুজিবর রহমান (৫৫) উপজেলার বৈদ্যার ইউনিয়নের মৃত কালু মিয়ার ছেলে। উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর এলাকায় মোতালেব মার্কেটে একটি ভাঙ্গারি ব্যবসা করেন।

ভুক্তভোগী মুজিবুর বলেন, আমার ভাঙ্গারি দোকানে চোরাই মাল আছে বলেপুলিশের ভয় দেখিয়ে দেড় লক্ষ টাকা করে দাবি টাকা না দিলে চুরির মামলা দিবে বলে সন্ত্রাসীরা তাঁর কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা না দেওয়ায় গতকাল দুপুরে ৫/৭ জন সন্ত্রাসী দোকানে হামলা চালায় এবং ভাঙচুর করে মারপিট করে ক্যাশ থেকে ৭৫০০০ টাকা নিয়ে যায়।

অভিযুক্তরা হলেন- একই উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বাড়ি মজলিস গ্রামের লোকমানে ছেলে রাসেল (৩৫) একই এলাকার নাহিদ, সানি, স্নিদ্র, হাবিবপুর গ্রামের আফসার ছেলে উজ্জ্বল। সরজমিনে গিয়ে জানাজায়, অভিযুক্ত রাসেল একই মার্কেটের খেলনার দোকানের হান্নানের কাছ থেক পুলিশের ভয় দেখিয়ে গত এক মাস পূর্বে ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।

এদিকে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে প্রায় চাঁদা দাবি করে রাসেল তার সহযোগীরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এমন নৃশংসভাবে হামলার ঘটনায় সাধারণ ব্যবসায়ীদের মাঝে উদ্বেগ বিরাজ করছে। দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তারা।

উল্লেখ্য, রাসেলের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মাদক চাঁদাবাজি সহ একাধিক মামলা রয়েছে। নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক বাড়ি মজলিসের একাধিক ব্যক্তি জানান, পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে মামলার বয় দেখিয়ে

অভিযোগের,তদন্তের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পঙ্কজ বলেন, আমি বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো।বিষয়টি নিয়ে সোনারগাঁ থানার(ওসি তদন্ত) আহসান উল্লাহ বলেন, এখনো বিষয়টি আমি দেখিনি। তদন্ত করে দেখার পর যদি কেউ চাঁদা দাবি করে তবে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি। থানায় অভিযোগ হওয়ার পর তারা এলাকা থেকে গা-ঢাকা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত