ধুনটে ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলায় এমপি ডরথী রহমান

| আপডেট :  ০২ মার্চ ২০২৩, ১২:৫৭  | প্রকাশিত :  ০২ মার্চ ২০২৩, ১২:৩৫

সুমন হোসেন, ধুনট প্রতিনিধি: বগুড়ার ধুনটে ঐতিহ্যবাহী বড় চাপড়া গ্রামে প্রতিবারের ন্যায় এবারও ঐতিহাসিক মাছ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১লা মার্চ) বিকাল ৫ টার মেলার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পিরোজপুর- ৩১৯ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মোছাঃ ডরথী রহমান।  এসময় উপস্থিত ছিলেন চিকাশী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নাজমুল কাদের শিপন, শাজাহানপুর  উপজেলা মহিলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মৌসুমী আক্তার, ধুনট উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন টিক্কা, সাধারণ সম্পাদক এম,এ রাশেদ, আওয়ামী লীগ নেতা এস,এম আলমগীর  হোসেন হেলাল, আবুল কালাম, গোলাম মোস্তাফা, দেলোয়ার হোসেন, আবুল কালাম মন্ডল,রফিকুল ইসলাম, রঞ্জু মিয়া, মেহের আলী,  মোঃ আব্দুল হান্নান মাষ্টার। প্রতিবছর মেলাটি প্রায় ১০ বছর ধরে চলে আসছে। একদিনের জন্য বসলেও মেলা চলবে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই মাছ মেলায় হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। শুধু ধুনট উপজেলার চিকাশী ইউনিয়নের বড় চাপড়া,ঝিনাই, চিকাশী, জোড়শিমুল হোটের পাড়া, সুলতাহাটা,সোনারগাঁ, ছোট চাপড়া, কালের পাড়া ইউনিয়নের আড়কাটিয়া, নিক্তিপোতা, কাদাই, সরুগ্রাম, নিমগাছি ইউনিয়নে মাজবাড়ী, ধামাচামা,শিয়ালী, নান্দিয়ার পাড়া, জয়শিং থেকেও প্রচুর লোক আসে এ মেলায়। মেলায় বোয়াল, বাগাই, বড় আকৃতির আইড়, চিতল, গজার, রুই, কাতলা সহ নানা প্রজাতির আকর্ষণীয় মাছ নিয়ে আসেন বিক্রেতারা । এছাড়াও পুটি, চিংড়ি, কৈ, চাপিলা, চান্দা মাছ উঠে ব্যাপক হারে। মেলার প্রধান আকর্ষণ মাছ, মিষ্টি ও কাঠের ফার্নিচার, গ্রাম গুলোর মানুষ এ মেলাটিকে তাদের  ঐতিহ্যবাহী মেলা বলে মনে করেন।

মেলার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কয়েকশ’ বিক্রেতা অংশ নিয়েছেন পইল মাছের মেলায়। বড় বড় মাছের সঙ্গে অনেকে দেশীয় নানা প্রজাতির ছোট মাছও নিয়ে এসেছেন। বেচাকেনাও চলে ব্যাপক। প্রত্যেকটি দোকানের সামনে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। মানুষজন মাছের দাম হাকাচ্ছেন, কিনছেন, আবার কেউ কেউ সেলফি তুলতেও ব্যস্ত বলে দেখা যায়। শুধু সেলফি তুলেই শেষ নয়। মাছ মেলার ছবি দিয়ে কেউ কেউ আবার ঝড় তুলছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও।

বড় চাপড়া মেলায় একটি মাছের দোকানে গিয়ে দেখা যায় প্রচুর ভিড়। মেলায় সব চেয়ে বড় বাঘার মাছটি তোলেন সেই দোকানে। ৩০কেজি ওজনের ওই বাঘাই মাছটির দাম চাওয়া হয় ৫০ হাজার টাকা। সবার দৃষ্টি ছিল এই মাছটির প্রতি।

মাছ বিক্রেতা শ্রীঃ লিটন জানান, বিভিন্ন নদী ও হাওর থেকে মাছ আসে এখানে। এ মেলাকে লক্ষ্য করে চলে মাছ ধরারও উৎসব। তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিবছরই এ মেলায় মাছ নিয়ে আসি। বাজারের তুলনায় মেলায় মাছের দাম বেশি হলেও সবাই আনন্দের সঙ্গে মাছ কেনেন।’

মেলায় ঘুরতে আসা  রাকিবুল ইসলাম জানান, ‘এখানে শুধু মাছ কেনাটাই বড় কথা নয়। বাপ-দাদার মুখে বড় বড় মাছের গল্প শোনা ছাড়া দেখা হয়নি। এখানে এসে বড় বড় মাছগুলো দেখে চোখ জুড়িয়ে নিলাম। মাঝে মধ্যে তাদের গল্পগুলো অবিশ্বাস্য মনে হত। কিন্তু এখানে এসে সেই ভুলও ভেঙে গেল।’

মেলার ঐতিহ্য সম্পর্কে চিকাশী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নুর আলম জানান, বড় চাপড়া  গ্রামে প্রতিবছর এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এই মেলাকে ঘিরে এলাকায় উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। প্রতিবছরের মতো এ বছরও মেলা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।’

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত