কানাইঘাটে চুক্তিপত্র লঙ্ঘন করে কবরস্থানের রাস্তা দিয়ে যান চলাচলের পায়তারার অভিযোগ
সিলেট প্রতিনিধি: কানাইঘাট উপজেলার ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের কাপ্তানপুর গ্রামে চুক্তিপত্র লঙ্গন করে গ্রামের প্রবীণ মুরব্বী মোহাম্মদ আলী গংদের বসত বাড়ির উপর দিয়ে কবরস্থানের যাতায়াতের সরু রাস্তা দিয়ে জোরপূর্বক ভাবে যান-বাহন চলাচলের চেষ্টা সহ রাস্তাটি সরকারি আওতায় নেয়ার অপচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
মোহাম্মদ আলীর পুত্র হুমায়ুন আজাদ সহ তার নিকটাত্মীয়রা জানান, কাপ্তানপুর গ্রামের কবরস্থানে দীর্ঘদিন ধরে কোন যাতায়াতের রাস্তা ছিল না। যার কারনে গ্রামের লোকজন ক্ষেতের মাঠ দিয়ে চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে লাশ কবরস্থানে নিয়ে যেতেন। গ্রামবাসীর অনুরোধের প্রেক্ষিতে ০২/০৭/২০০৬ইং তারিখে বিভিন্ন শর্তের মাধ্যমে ১০০ টাকার কার্টিজ পেপারে চুক্তিপত্রের মাধ্যমে কবরস্থানে লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য হুমায়ুন আজাদের পিতা মোহাম্মদ আলী ও তার স্বজনরা তাদের বসত বাড়ির উপর দিয়ে গ্রামের কবরস্থানে লাশ নিয়ে যাওয়া সহ মানুষের পায়ে হেটে যাতায়াতের জন্য মাটির রাস্তা করার সুযোগ দেন।
চুক্তিনামার শর্ত লঙ্ঘন করবেন না বলে গ্রামের অনেকে কার্টিজ পেপারে স্বাক্ষর দেন। যথারীতি গ্রামের লোকজন রাস্তা ব্যবহার করে কবরস্থানে লাশ নিয়ে যেতেন। কিন্তু সম্প্রতি কয়েক মাস থেকে চুক্তিনামা লঙ্গন করে কাপ্তানপুর গ্রামের কতিপয় লোকজন ইন্ধন দিয়ে মোহাম্মদ আলীর পৈত্রিক জায়গার উপর কবরস্থানের সরু আংশিক পাকা ও কাঁচা মাটির রাস্তা পাশর্^বর্তী কটালপুর গ্রামের লোকজনের যাতায়াতের দাবী তুলে উক্ত রাস্তা দিয়ে ছোট ছোট যানবাহন চলাচলের পায়তারা সহ গরু-মহিষ চরানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে বলে হুমায়ুন আজাদ জানান।
তিনি বলেন, গ্রামের মানুষের সুবিধার্থে চুক্তিনামার মাধ্যমে বিভিন্ন শর্ত আরোপ করে তার পিতা সহ স্বজনরা গ্রামের কবরস্থানে লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য বসত বাড়ির উপর রাস্তা করে দেন। কিন্তু বাড়ির উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কবরস্থানের রাস্তা দিয়ে বর্তমানে গ্রামের কিছু লোকজন ইচ্ছাকৃত ভাবে যানবাহন চলাচলের চেষ্টা সহ গরু-মহিষ চরানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। নানা ভাবে তাদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। পাশ্ববর্তী কটালপুর গ্রামের মানুষের যাতায়াতের জন্য আলাদা মাটির সড়ক থাকা সত্তে¡ও কবরস্থানে যাতায়াতের সরু রাস্তা দিয়ে কঠালপুর গ্রামের লোকজন ছোট ছোট যানবাহন নিয়ে যাতায়াত করতে পারেন এজন্য কবরস্থানে তাদের সম্পত্তির উপর দেওয়া রাস্তা সরকারি করনের পায়তারা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, কবরস্থানের রাস্তা ব্যবহার করে পায়ে হেটে যাতায়াত সহ ব্যবহারের জন্য তাদের কোন আপত্তি নেই, কিন্তু গ্রামের ভিতর দিয়ে যানবাহন চলাচলে তাদের আপত্তি রয়েছে বলে জানান।
এ নিয়ে যাতে করে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এজন্য তিনি স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবের্গর সহযোগিতা চেয়েছেন।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত