সোনারগাঁয়ে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে আখ চাষ

| আপডেট :  ১০ আগস্ট ২০২৩, ০৪:৫৪  | প্রকাশিত :  ১০ আগস্ট ২০২৩, ০৪:৫৪

আল আমিন কবির, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ থেকে: যদিও বিগত দশ পনের বছর আগে সোনারগাঁয়ের হামছাদী, পানামনগর, বারদী, খংসারদী, টিপুরদী এলাকার দেশীয় আখ সোনারগাঁয়ের হাট বাজারে ব্যাপক চাহিদা ছিল কালের বিবর্তণে হারিয়েছে যাচ্ছে সুমিষ্ট আখ, যদি ও সোনারগাঁয়ে আখের ব্যাপক চাহিদা থাকার কারণেও কৃষকরা কৃষি জমি অভাব সহ কোম্পানির বিষাক্ত পানির কারণে আখ চাষ আজ বিলুপ্তীর পথে।

সোনারগাঁয়ে আখ চাষের আবাদ কমলেও বেড়েছে চাহিদা। যারাই আখ চাষ করেছেন চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। কয়েক বছর ধরে কৃষকরা আখ চাষ করে প্রত্যাশিত ফলন পাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও জেলার সোনারগাঁওয়ে কৃষকরা আখ চাষে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন। ফলন ভালো হওয়ায় ক্ষেত থেকে আগেভাগেই আখ কেটে বাজারে বিক্রি করার জন্য তুলছেন তারা। বাজারমূল্যও ভালো পাচ্ছেন। আখের দাম পেয়ে খুশি চাষিরা।

নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা এলাকার চাষি আমান মিয়া প্রতিবেদককে বলেন, এ বছর আমি দুই বিঘা জমিতে আখ চাষ করেছি। আর জমি তৈরি, চারা কেনা, শ্রমিক, সার, কীটনাশকসহ আমার খরচ হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। আশা করছি এক লাখ টাকার ওপরে আখ বিক্রি হবে।

বাজারে আখের দাম ভালো হওয়ায় আমি লাভবান হতে পারব। তবে কোম্পানির বিষাক্ত পানির কারনে ফসল তোলার আগেই নষ্ট হয়ে যায়।

তাই ফসলের ক্ষতি হওয়ার আগেভাবেই ওঠিয়ে বিক্রি করছি হাট বাজারগুলোতে জেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান- এ বছর আখ চাষের বাম্পার ফলন হয়েছে। আখ বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে চাষিরা। আখ ক্ষেতে সাথী ফসল আবাদ করে তা থেকে আখ চাষের খরচ উঠে আসে। পরে আখ বিক্রির টাকা এককালীন লাভ হিসেবে চাষিরা পেয়ে যায়।

তিনি বলেন, কৃষি বিভাগ থেকে আখচাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কৃষক আখ চাষে জড়িত। উপসহকারী কৃষি অফিসাররা মাঠে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত