মুস্তাফিজের দারুণ বোলিংও হেরেছে তার দল
উইকেট নিয়ে চিরাচরিত মুচকি হাসি, হাত মুঠো করে উদযাপন। অধিনায়ক মোহাম্মদ নবীও চাপড়ে দিলেন মুস্তাফিজুর রহমানের পিঠ। লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) আবারো নিজের প্রথম ওভারে মুস্তাফিজের উইকেট। তবে মুস্তাফিজের দারুণ শুরুর পরও লঙ্কান বোলারদের বদান্যতায় ম্যাচ জিততে পারেনি ডাম্বুলা সিক্সার্স। এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচ খেলা দলটি হেরেছে দুটি ম্যাচেই, এবার জাফনা কিংসের কাছে।
মুস্তাফিজের এনে দেওয়া ব্রেকথ্রুর সুবিধা কাজে লাগিয়ে পরের দুই ওভারে আরও দুটি উইকেট শিকার করে দল।
একাদশ ওভারে আবারো বল হাতে নিয়ে মুস্তাফিজ প্রথম ৩ বলে ছড়ান মুগ্ধতা। এ সময় ধারাভাষ্যকাররাও তার গুণগান করতে থাকেন। যদিও ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে দুটি চার হজম করে সেই ওভারে ১০ রান বিলি করেন ফিজ।
এরপর অধিনায়ক নবী মুস্তাফিজের বদলে লঙ্কান বোলারদের উপর ভরসা করেন। আর তারা অদক্ষতার পরিচয় দিলে জাফনার দুই ব্যাটার অভিষকা ফার্নান্দো ও চারিথ আসালঙ্কা ম্যাচ বের করে নেন, শেষপর্যন্ত আর দলকে জেতানোর মঞ্চ পাননি মুস্তাফিজ।
তারপরও ফিজ হাল ছাড়েননি। ১৭তম ওভারে পাওয়ার ব্লাস্ট ওভারের কঠিন সময়েও বিলি করেন মাত্র ৩ রান, সাজঘরে ফেরান অর্ধশতক হাঁকানো আসালঙ্কাকে। ১৯তম ওভারে মুস্তাফিজ আবারো বোলিংয়ে এলে হৃদয় অবিশ্বাস্য এক থ্রোতে আউট করেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে। শেষপর্যন্ত ৪ ওভারে ২ উইকেট শিকার করেন ৩০ রানে। তার উপর ভর করেই শেষদিকে রোমাঞ্চকর হয়ে ওঠে ম্যাচ। তবে শেষ বলে ৪ উইকেটের জয় তুলে নেয় জাফনা।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান জড়ো করে ডাম্বুলা। আগের ম্যাচে টপ অর্ডার করেছিল নিদারুণ হতাশ। এই ম্যাচে টপ অর্ডারের কারণে অন্যরা ব্যাটিংয়ের সুযোগই পেলেন না। কুশল পেরেরা সেঞ্চুরি হাঁকানো ইনিংসে এত দারুণ ব্যাট করেছেন যে, ব্যাট হাতে নামার সুযোগই হয়নি বাংলাদেশি ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়ের।
জাফনার অধিনায়ক চারিথ আসালঙ্কা টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। সাবধানী শুরুর পর ১১ বলে ৯ রান দানুশকা গুনাথিলাকা ফেরেন সাজঘরে।
এরপর নুয়ানিন্দু ফার্নান্দোর সাথে দলের হাল ধরেন কুশল পেরেরা। ৩৫ বলে ৪০ রান করে ফার্নান্দো বিদায় নিলে টু ডাউনে হৃদয়ের বদলে নামেন মার্ক চ্যাপম্যান।
তার সঙ্গ কাজে লাগিয়ে কুশল পূর্ণ করেন সেঞ্চুরি। শেষপর্যন্ত ৫২ বলে ১০২ রান করে থেকে যান অপরাজিত। কুশলের ইনিংস সাজানো ছিল ১০টি চার ও ৫টি ছক্কা। চ্যাপম্যান ২৩ বলে ৩৩ রানে থাকেন অপরাজিত। দুইয়ের বেশি উইকেট না পড়ায় ক্রিজে নামা হয়নি হৃদয়ের। জাফনার পক্ষে দুটি উইকেটই শিকার করেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। ১৯১ রানের পুঁজি নিয়ে বোলিংয়ে নামেন মুস্তাফিজুর রহমান, আকিলা ধনঞ্জয়া, মোহাম্মদ
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত