শীতের শাক-সবজির দাম কমলেও বেড়েছে মাছ-মাংস ও চালের দাম

| আপডেট :  ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৫  | প্রকাশিত :  ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৫

ইস্পাহানী ইমরান, কেরানীগঞ্জ: কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে নতুন শাকসবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে পালং শাক, লাউ, ফুলকপি, করলা, টমেটোসহ বিভিন্ন সবজির দাম কমেছে। মঙ্গলবার সকালে কলাতিয়া, আটিবাজার, রুহিতপুর, আব্দুল্লাহপুর ও জিনজিরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পালং শাক বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৫০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৬০ টাকা এবং বেগুন ৭০ টাকা কেজি দরে। তবে টমেটো ও গাজরের দাম এখনো কেজিতে ১২০ টাকার ঘরে রয়েছে।

সবজির দামে স্বস্তি থাকলেও চাল, মাছ, এবং মাংসের দামে ভোগান্তিতে পড়েছে ক্রেতারা। ইলিশের দাম কেজিতে ১৪০০ থেকে ২০০০ টাকা, রুই ৪০০-৪৭০ টাকা, এবং চিংড়ি ৯০০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি টেংরা ১০০০ এবং পাবদা ৬৫০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। গরুর মাংসের কেজি ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজারেও ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। নাজিরশাইল ও মিনিকেট চালের দাম বস্তাপ্রতি ১৫০-২০০ টাকা বেড়েছে। খুচরা পর্যায়ে নাজিরশাইলের কেজি এখন ৭৫-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার করতে আসা ক্রেতারা জানাচ্ছেন, এই মূল্যবৃদ্ধি তাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। রিকশাচালক বদিউল বলেন, “দিনে ৫০০-৭০০ টাকা আয় করি। বাজারে এসে কী কিনবো বুঝতে পারি না। মাছ-মাংস তো দূরের কথা, চাল-ডাল কেনাও কঠিন হয়ে পড়েছে।”

সবজি বিক্রেতা হাছান বলেন, “সবজির দাম ভালোই পাচ্ছি। তবে বৃষ্টি হলে সবজি নষ্ট হওয়ার ভয় আছে।” চাল বিক্রেতা কামাল জানান, নতুন চাল বাজারে এলে দাম কিছুটা কমতে পারে।

কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিনাত ফৌজিয়া বলেন, “আমাদের মোবাইল টিম বাজার মনিটরিং করছে। কোনো ব্যবসায়ী বেশি দামে পণ্য বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এই পরিস্থিতিতে ক্রেতারা প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনশীল রাখার দাবি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত