ঈদযাত্রায় সদরঘাটে যাত্রী সংকট, লঞ্চ মালিকদের দুশ্চিন্তা

ইস্পাহানী ইমরান, কেরানীগঞ্জ: ঢাকা, ২৪ মার্চ: সাধারণত ঈদুল ফিতরের আগে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থাকে কর্মব্যস্ত ও যাত্রীদের ভিড়ে মুখরিত। তবে এবার চিত্রটা একেবারেই ভিন্ন। যাত্রী সংকটে লঞ্চগুলো কার্যত ফাঁকা পড়ে আছে, যা লঞ্চ মালিকদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীদের বড় একটি অংশ সড়কপথকে বেছে নিচ্ছে, যার ফলে নৌপথে যাত্রী সংখ্যা কমে গেছে। আগে যেখানে ঈদ মৌসুমে যাত্রীদের ৩৫ শতাংশ লঞ্চ ব্যবহার করত, এখন তা কমে ১৫ শতাংশে নেমে এসেছে। ঢাকা-বরিশাল রুটে যেখানে আগে ১৮টি লঞ্চ চলত, এখন চলছে মাত্র চারটি।
লঞ্চ মালিক সমিতির মহাসচিব সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, পদ্মা সেতু ও উন্নত সড়ক যোগাযোগের কারণে নৌযাত্রায় আগ্রহ কমেছে। বরিশাল, ঝালকাঠি ও ভাণ্ডারিয়া রুটে যাত্রী সংকট প্রকট। তবে চাঁদপুর, ভোলা ও লালমোহন রুটে কিছুটা ভিড় রয়েছে।
যাত্রীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিআইডব্লিউটিএ বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। কোনো ফিটনেসবিহীন লঞ্চ চলতে পারবে না এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক মোবারক হোসেন।
এদিকে, যাত্রী সংকটের কারণে নির্ধারিত ভাড়াও তুলতে পারছে না লঞ্চ মালিকরা। তবে জ্বালানি খরচ ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বাড়ায় ভাড়া কিছুটা বাড়ানোর দাবি করেছেন তারা। ঢাকা-বরিশাল রুটে ঈদের সময় ডেক ভাড়া ৩০০-৪০০ টাকা, সিঙ্গেল কেবিন ৮০০-১২০০ টাকা, ও ডাবল কেবিন ১৮০০-২৪০০ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।
এবার ঈদ উপলক্ষে ২৫ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিশেষ ঈদ লঞ্চ সার্ভিস চালু করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ঢাকা-বরিশাল রুটে যুক্ত হচ্ছে অত্যাধুনিক লঞ্চ এমভি এমখান।
লঞ্চ মালিক সমিতির অর্থ সম্পাদক হান্নান মাহমুদ আশা প্রকাশ করে বলেন, ২৫ রোজার পর যাত্রী সংখ্যা বাড়তে পারে, তবে আগের মতো চাপ আর থাকবে না। তবুও যাত্রীদের জন্য নিরাপদ ও আরামদায়ক যাত্রা নিশ্চিত করতে আমরা প্রস্তুত।”
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত