সন্ধ্যার পর পোশাক কারখানার বিষয়ে সিদ্ধান্ত
আগামী ১ জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া কঠোর লকডাউনের মধ্যেও তৈরি পোশাক কারখানাগুলো খোলা রাখতে চান মালিকরা। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সন্ধ্যার পর সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। আজ মঙ্গলবার (২৯ জুন) সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে ‘কঠোর লকডাউন’। সাত দিনের কঠোর এই লকডাউনে ৭ জুলাই পর্যন্ত জরুরি সেবা ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হতে পারবেন না। জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব অফিস-আদালত বন্ধ থাকবে। বিধিনিষেধ চলাকালে এবার কোনো মুভমেন্ট পাস থাকবে না। এর আগে সোমবার (২৮ জুন) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এসব কথা জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, করোনার বর্তমান পরিস্থিতি স্ট্রিক্ট পর্যায়ে না যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। তাই এবার আমরা খুবই স্ট্রিক ভিউতে যাচ্ছি। তিনি বলেন, কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী, পুলিশ, ব্যাটালিয়ান পুলিশ ও বিজিবি। তারা টহলে থাকবে। তাদরকে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। বের হওয়া যাবে না, বাসায় থাকতে হবে সবাইকে। রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া বা বিদ্যুৎ, পানি এসব জরুরি সেবা সেগুলো চলবে।
মুভমেন্ট পাস বিষয়ে তিনি বলেন, এবার মুভমেন্ট পাস থাকবে না। কেউ বের হতে পারবে না, পরিষ্কার কথা। যারা জরুরি কাজের সঙ্গে জড়িত তারা চলাচল করবে। দাফন-কাফনের কাজ করা যাবে। কোনো রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাবেন সেটা যেতে পারবেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমরা সারাদেশের স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা ভিডিও প্রেজেন্টেশনে দেখছি দেশের একটা বড় অংশ রেড, অরেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে। কিছু বাস্তব কারণে ৩০ জুন পর্যন্ত করতে পারছি না। তবে ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই স্ট্রিক বিধিনিষেধ আরোপ হবে।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত