ভূমধ্যসাগরে বাংলাদেশিসহ ৪৩ অভিবাসনপ্রত্যাশী নিয়ে নৌকাডুবি
ভূমধ্যসাগরে তিউনিসিয়া উপকূলের কাছে বাংলাদেশিসহ ৪৩ অভিবাসন প্রত্যাশী নিয়ে একটি নৌকা ডুবে গেছে। এ ঘটনায় উদ্ধার করা হয়েছে ৮৪ জনকে।
শনিবার (৩ জুলাই) এ দুর্ঘটনা হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। অভিবাসন প্রত্যাশীদের মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিকও রয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান রেডক্রস জানায়, নৌকাটি লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করছিলো। লিবিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জুয়ারা থেকে নৌকাটি রওনা হয়। নৌকাটির মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও মিসর, সুদান ইরিত্রিয়ার নাগরিকরা ছিলেন।
এর আগে, গত ২৯ জুন তিউনিশিয়া থেকে নৌকায় করে ইতালি পৌঁছানোর সময় ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে প্রাণ হারান অন্তঃসত্ত্বা এক নারীসহ সাত অভিবাসনপ্রত্যাশী। এ ঘটনায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে ৪৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
তার আগে, ২৮ জুন লিবিয়া থেকে ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রার সময় ভূমধ্যসাগর থেকে বাংলাদেশিসহ ১৭৮ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী। পাশাপাশি দুজনের মরদেহও উদ্ধার করা হয়।
আর গত ২৪ জুন নৌকায় করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার সময় তিউনিশিয়ার কোস্টগার্ডের হাতে উদ্ধার হন মোট ২৬৭ জন। যাদের মধ্যে ২৬৪ জন বাংলাদেশি ও ৩ জন মিশরীয় নাগরিক।
ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের তথ্যমতে, এ বছর জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত এক হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী লিবিয়া থেকে তিউনিশিয়া হয়ে ইউরোপে পাড়ি জমিয়েছেন। জাতিসংঘের তথ্যমতে, জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত ৭৬০ জন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
ইউরোপে উন্নত জীবনের আশায় প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ আফ্রিকার লিবিয়াসহ আরো কয়েকটি দেশ থেকে নৌকায় করে ইতালির মতো দেশে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। বিপজ্জনক এই যাত্রায় প্রতি বছরই ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা যায় কয়েক হাজার মানুষ।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত