তুর্কি ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে পর্যটন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান

| আপডেট :  ০৯ জুলাই ২০২১, ০১:০১  | প্রকাশিত :  ০৯ জুলাই ২০২১, ০১:০১

‘পর্যটন শিল্পের টেকসই উন্নয়নে পর্যটন গন্তব্যের ব্যবস্থপনা ও গুরুত্ব’ শীর্ষক এক প্যানেল আলোচনায় ইস্তাম্বুলস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা ও এর বিকাশে সরকারের গৃহীত নীতি ও পদক্ষেপের চিত্র তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, ইউএনডিপি,তুর্কি ট্রাভেল ক্লাব টুরসাব, ক্যানাল ইকোনমি ও টেকসই উন্নয়ন সলিউশন নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) তুর্কি এর যৌথ উদ্যোগে ও সহযোগিতায় দুদিন ব্যাপী ‘পর্যটন উন্নয়ন ও গবেষ্ণনা প্লাটফরম-টেকসই পর্যটন সামিট’ এর দ্বিতীয় দিনে আজ বৃহস্পতিবার এ প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

এসডিএসএন তুর্কির কোর্ডিনেটর মিজ বাহার ওজেই সঞ্চালনায় এ আলোচনায় প্যানেলিষ্ট হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন নেদারল্যান্ডসের কনসাল জেনারেল জনাব বার্ট ভন বলহুস, গাজিয়ানটেপ শহরের মেয়র মিজ ফাতমা শাহিন, ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড, তুরস্কের প্রধান নির্বাহী মিজ আশলি পাশিনলি এবং ইজমির শহরের ডেপুটি মেয়র ড গুভেন ইকেন।

জনাব ইসলাম বাংলাদেশের পর্যটন নীতির উপর আলোকপাত করতে গিয়ে বাংলাদেশের নান্দনিক স্থানসমূহের বর্ণনার পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সরকারের প্রচেষ্টা, প্রতিশ্রুতি ও পরিকল্পনার কথা ব্যক্ত করেন। পর্যটন শিল্প ও সেবাকে বহুমুখী ও প্রসারিত করার লক্ষ্যে ইকো-ট্যুরিজম, গ্রামীণ পর্যটন, নৌ-পর্যটন, কৃষি পর্যটনসহ সরকারের অন্যান্য অভিনব, সৃজনশীল ও সময়োপযোগী কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করেন। লোকজ সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ, লালন ও প্রচার-প্রসারে কমিউনিটি ট্যুরিজম বিশেষ অবদান রাখছে বলে, তিনি মনে করেন। সরকারের বলিষ্ঠ ভূমিকার পাশাপাশি বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ এ শিল্পের উন্নয়নকে আরো বেগবান করেছে বলে, কনসাল জেনারেল মন্তব্য করেন। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণকল্পে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও প্রশিক্ষিত উদ্ধারকর্মী নিয়োজিত রয়েছে বলে জনাব ইসলাম যোগ করেন।

বাংলাদেশে চলমান বিশ্বমানের ট্যুরিজম পার্ক নির্মাণ প্রকল্পের উল্লেখ করে, জনাব ইসলাম তুর্কি ব্যবসায়ীদেরকে পর্যটন খাতে বিনিয়োগের আহবান জানান। এছাড়া, টেকসই পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের এর সাথে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র সমূহে, যেমন নবায়নযোগ্য শক্তি, পুনর্ব্যবহারযোগ্য শিল্প এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বিনিয়োগের অফুরান সুযোগ রয়েছে বলে তিনি সকলকে অবহিত করেন।

আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে পর্যটন শিল্পের গভীর সম্পর্ক ও অর্থবহ ভূমিকায় বর্ণনা দিয়ে উপস্থিত বক্তাগণ আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে কোভিড পরবর্তী সময়ে এ খাতটি অতি দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবে এবং পূর্বের অবস্থা ও গতিতে ফিরে আসবে।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত