সোনারগাঁও আ.লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে প্রত্যাখ্যান, সমালোচনার ঝড়
আল আমিন কবির, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ: সম্মেলনের ৮ মাস পর উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সেক্রেটারি স্বাক্ষরিত ওই কমিটিতে স্থান পাওয়া একাধিক নেতার বিরুদ্ধে রাতারাতি পদ ভাগিয়ে আনার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এতে এই কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল স্বাক্ষরতি ৭১ জনের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সহ-সভাপতি ও সেক্রেটারি ঘোষণা করা প্রস্তাবিত কমিটির ১৯ জনকে বাদ দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
জাতীয় পার্টির ঘেষা এসব ব্যক্তি কমিটিতে কিভাবে আসে এমন প্রশ্নরে জবাবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার বলনে, প্রস্তাবিত কমিটির তালিকা কেন্দ্রে ও জেলায় দিয়েছি। তা আমরা যারা সোনারগাঁয়ে আওয়ামী রাজনীতি করি তারা যাচাই বাছাই করেই দিয়েছি। এতে দুয়েকজনের ব্যাপারে জেলার নীতি নির্ধারকদের আপত্তি থাকতে পারে। তা তারা জানালে আমরা পুনরায় তাদরে নাম বিবেচনায় এনে নতুন করে কমিটি হবে। কিন্তু জেলা থেকে যেভাবে তড়িঘরি করে আমাদের কাউকে না জানিয়ে উপজেলা কমিটি দিয়েছেন তা আওয়ামী লীগের ইতিহাসে আমরা কখনো দেখিনি এবং এটা গঠনতন্ত্র বহির্ভূত কর্মকাণ্ড।
তিনি বিতর্কিত ইস্যু সর্ম্পকে আরও জানান, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদ পাওয়া আলী হাসান মেহেদীকে তিনি চিনেন না। সে কে? কখনো সংগঠন করেছেন কিনা এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে কখনো আওয়ামী লীগের কোন কর্মসূচিতে তাকে দেখেননি এমন ব্যক্তি পদ পাওয়ায় ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করনে তিনি।
বিতর্কিত লোকের কমিটিতে স্থান পাওয়া ও ত্যাগী নেতাদের মধ্যে থেকে প্রস্তাবতি কমিটির ১৯ জনকে বাদ দেওয়ায় চরমভাবে ক্ষুব্ধ হন সোনারগাঁ উপজলো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি এমন কাণ্ডে দলটির তৃণমূলে অর্থাৎ জেলা ও উপজলা আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে রাতারাতি পদ পাওয়া আলী হাসান মেহেদী বলেন, আমি মাঝে মধ্যে আমার ভাইয়ের সঙ্গে জাতীয় পার্টির উপজেলা কেন্দ্রীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু কোন পদে ছিলাম না। আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছি র্দীঘদিনযাবত। কিন্তু কোন আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের পদে ছিলাম না কখনো। অন্যদিকে প্রস্তাবতি কমিটি থেকে ১৯জন ত্যাগী নেতাদের কে বাদ দেয়ার অভিযোগ এনে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকটে সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক সাবকে সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার জেলা আওয়ামী লীগের অনুমোদিত সোনারগাঁ উপজলো আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রত্যাখ্যান করেছেন। বাংলাদশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক বরাবর কমিটির চূড়ান্ত করার দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে গত বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকটে আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল সাক্ষরিত ৭১ জনের পূর্ণাঙ্গ কমিটির ঘোষণাপত্র ছড়িয়ে পড়ে। তবে বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ও জাতীয় পার্টির উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটির কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশ নেয়া আলী হাসান মেহেদীর সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে সোনারগাঁ উপজলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদ পাওয়াকে কন্দ্রে করে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার সর্বত্র তুমুল সমালোচনার ঝড় বইছে। অন্যদিকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত দীর্ঘ ২৫ বছর পর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে ঠাই পেয়ে অনেকেই আনন্দ উল্লাস করেছেন।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত