কৌশলে তরুণীকে ছাদে নিয়ে যায় জারিফ: পুলিশ
রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় ভবনের ছাদে তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মাহাদী হাসান জারিফকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে বরিশাল সদরে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মেয়েটির ‘মন ভালো করে দেওয়ার’ কথা বলে বেড়াতে নিয়ে ধর্ষণ করে ওই যুবক।
শুক্রবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা করেছে।
ধানমন্ডি থানার ওসি পারভেজ ইসলাম সমকালকে জানান, জারিফ বরিশালে থাকে। মাঝেমধ্যে সে ঢাকায় আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে আসে। ঘটনার দিনও সে তেমনি ঢাকায় অবস্থান করছিল। অন্যদিকে ভুক্তভোগী তরুণী রাগ করে বাসা থেকে বের হয়েছিল। সে বিকেলে মন খারাপ করে বসেছিল ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে। তাকে লক্ষ্য করে এগিয়ে যায় জারিফ। সে মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে সখ্য গড়ার চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে তাকে নিয়ে বেড়াতে যায় ঘটনাস্থল ধানমন্ডির ৩/এ নম্বর সড়কের ৫৬/এ নম্বর ভবন এএমএম সেন্টারে। পরে সন্ধ্যায় ভবনের ছাদে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, জারিফের এক মামা কল্যাণপুরে এবং চাচা ধানমন্ডিতে থাকেন। সেই সূত্রে সে মাঝেমধ্যেই ঢাকায় আসে। এখানে ধানমন্ডি লেক এলাকায় ঘোরাফেরা করে। এর আগেও এই এলাকায় সে তরুণীদের উত্ত্যক্ত করেছে। একবার উত্ত্যক্ত করে পিটুনির শিকারও হয়েছে। তারপরও সে ঢাকায় এলে ঘুরে ঘুরে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করত। ধর্ষণের দিনও অসৎ উদ্দেশ্যেই সে মেয়েটির সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে। মেয়েটি সরল বিশ্বাসে তার সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়।
এর আগে ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা জানান, রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ফুটপাতে ব্যবসা করেন তিনি। থাকেন কেরানীগঞ্জের আটিবাজার এলাকায়। আর তাঁর মেয়ে থাকে মোহাম্মদপুরের বসিলায়। ঘটনার দিন সকালে তাঁর মেয়ে বাসা থেকে বের হয়। এরপর সে ওই যুবকের সঙ্গে ধানমন্ডির এএমএম সেন্টারে যায়। সেখানে প্রথমে তারা নিচতলার একটি সুপারশপে ঢোকে। কিছু সময় থাকার পর তারা লিফটে উঠে সপ্তম তলার ছাদে চলে যায়। ওই স্থানে একটি রেস্টুরেন্ট ছিল, যা বর্তমানে বন্ধ ও পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। সেই রেস্টুরেন্টের করিডোরে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত