মোগড়াপাড়ায় এলজিইডির পাকা সড়ক কেটে অবৈধ ড্রেজার লাইন স্থাপন
সোনারগাঁও প্রতিনিধি: কোন অনুমোদন ছাড়াই এলজিইডির একটি পাকা সড়ক কেটে ১০ ফুট গর্ত করে লোহার তৈরি রিং কালভার্ট স্থাপন করে আবার ঢালাই দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু ভরাট চালিয়ে যাচ্ছে ঐতিহাসিক মোগড়াপাড়া গ্র্যান্ড ট্রাংক এলজিইডির সরকারী পাকা রোড টি
সড়ক কেটে অবৈধ ড্রেজার লাইন স্থাপন করেন-চক্রটি।
১৯ ই সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,সোনারগাঁয়ের মোগড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন সরকারী এলজিইডির একটি পাকা সড়কে বিশাল গর্ত করে বড় বড় লোহার তৈরি রিং কালভার্ট ফেলে তিনটি পাইপলাইন দিয়ে তিনটি ড্রেজার দিয়ে অবৈধ বালুর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন একটি চক্র।
সরকারি এসব রাস্তা গর্ত করায় ঝুঁকিতে সড়কে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই সড়কে চলাচলকারী যাএীরা।
যানজট যেন নিত্য দিনের সঙ্গী হয়ে রয়েছে এই সড়কে,ঐতিহ্য বাহী গ্র্যান্ড ট্র্যাংক রোড টি,এই রোডটি দিয়ে প্রতিদিন মোগড়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোগড়াপাড়া সরকারী এইচ জি জি এস স্মৃতি বিদ্যায়তন, সোনারগাঁও সরকারি ডিগ্রি কলেজ এর শতশত শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের প্রধান সড়ক এটি, ঐতিহ্যবাহী কাইকারটেক হাট,সহ কয়েকশত গ্রামের জনসাধারণ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এই সড়ক দিয়ে পাশে রয়েছে মোগড়াপাড়া বাজার সহ পোস্ট অফিস ভূমি অফিস।
স্থানীয়দের দাবি অনেক চেষ্টা ও দাবির পর রাস্তাটি পাকা করা হয়েছিলো পূর্বে। সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে রাস্তাটি কেটে দেড় মাস ধরে অবৈধ ড্রেজার লাইন স্থাপন করে মোগড়াপাড়া ইউপি র ফুলবাড়িয়া এলাকার দুলু প্রধান, নগরসাদীপুর এলাকার আলমগীর মিয়া,ও একই এলাকার সুমন মিয়া নামের একটি সিন্ডিকেট চক্র নিজেদের ফায়দা লুটতে সরকারি রাস্তা নষ্ট করে জনগন ও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কারন হয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ ড্রেজার বন্ধে নেয়া হয়নি কোন উদ্যোগ।
স্থানীয় চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু বলেন অবৈধ ভাবে রাস্তা কেটে ড্রেজার দিয়ে বালু ভরাটের জন্য কয়েকদফা বাধা দেই।
অবৈধ ড্রেজার চক্রের এক সদস্য দুলু প্রধানের কাছে রাস্তা কাটার বৈধ কোন কাগজপত্র আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন-
রাস্তার যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। ওই পরিমাণ সড়ক আমরা নিজ খরচে ঠিক করে দিবো।
রাস্তা কাটার বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে ও ব্যর্থ হন এমনকি উপজেলা পরিষদ থেকেও কোন অনুমোদন নেয়নি।
অবৈধ ভাবে তাঁরা রাস্তা কেটে সরকারি সম্পদ নষ্ট করেছে এমনটি অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত