প্রতারণায় শরীয়তপুরে সংবাদ পাঠিকার আ*ত্ম*হ*ত্যা
রতন আলী মোড়ল, জেলা প্রতিনিধি, শরীয়তপুর: দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন শরীয়তপুরের ক্যামেরাম্যান আমিন মোহাম্মদ জিতুর প্ররোচনায় জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা (১৯) নামের এক সাংস্কৃতিক কর্মী আত্মহত্যা করেছে। এমন অভিযোগ তুলে থানায় মামলা দায়ের করেছেন নীলার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার আব্দুল মান্নান খান।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার দক্ষিণ খোশাল শিকদার কান্দিতে নিজ ঘরে ফ্যানের সাথে ওরনা পেচিয়ে আত্মহত্যা করে জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা।
নিহত জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা শরীয়তপুরের জনপ্রিয় নাট্যমঞ্চ অঙ্কুর থিয়েটারের একজন অভিনেত্রী ও স্থানীয় একটি সংবাদ মাধ্যমের সংবাদ পাঠিকা। আমিন মোহাম্মদ জিতু দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের শরীয়তপুরের ক্যামেরাম্যান ও শরীয়তপুর শহরের নিরালা এলাকার বজলুর রহমানের ছেলে।
নিহতের পরিবার ও মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা পড়াশোনার পাশাপাশি নাট্যমঞ্জ ও সংবাদ পাঠিকা হিসেবে কাজ করে। নাটক ও সংবাদের প্রয়োজনে তাকে প্রায়ই শরীয়তপুর শহরে যেতে হতো। শহরে গেলে সেখানে তার সাথে ক্যামেরাম্যান আমিন মোহাম্মদ জিতুর সাথে পরিচয় হয়। তাদের পরিচয়ের সম্পর্ক এক পর্যায়ে প্রেমে পরিণত হয়। এরপর আমিন মোহাম্মদ জিতু বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নীলার সাথে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। সর্বশেষ নীলাকে বিয়ের কথা বলে গত ২৪ অক্টোবর শরীয়তপুরে ডেকে নিয়ে যায় আমিন মোহাম্মদ জিতু। সেখানে একদিন থাকার পর গত ২৫ অক্টোবর রাত ১০ টার দিকে নীলা বাড়িতে ফিরে আসে। সকালে নীলার পরিবার তাকে বিষয়টি জিজ্ঞেস করলে সে জানায় জিতু তাকে বিয়ের কথা বলে শরীয়তপুর নিয়ে বিয়ে না করে অপবাদ দিয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়। গতকাল ২৬ অক্টোবর দুপুরে বিশ্রাম নেওয়ার কথা বলে নিজের রুমে গিয়ে দরজা আটকিয়ে ফ্যানের সাথে ওরনা পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে সে আত্মহত্যা করে।
নীলার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার আব্দুল মান্নান খান মুক্তকন্ঠকে বলেন, আমার মেয়েকে জিতু বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। বিয়ে না করে উল্টো আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছে। আমি থানায় মামলা দায়ের করেছি। আমি নীলার হত্যাকারীর ফাঁসি চাই।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান মুক্তকন্ঠকে বলেন, জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা নামে এক মেয়ের আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। নীলার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনো আসামী গ্রেপ্তার করা যায়নি। আসামী গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত