ছুটছে মানুষ, ঘাটে ৫০০
গাবতলী বাসস্ট্যান্ডের বিআরটিসি বাস ডিপোর সামনে ব্যক্তিগত গাড়ি দাঁড়ানো কয়েকটি। একটি করে গাড়ি এলেই তার চারপাশে ভিড় করে কয়েকজন দাঁড়িয়ে হাঁক দিচ্ছেন, ‘ঘাটে ৫০০’। এই হাঁকের সাড়া মেলে বেশ। গাড়ি ভরতে খুব বেশি সময় লাগে না। লকডাউন চললেও মানিকগঞ্জ হয়ে ঢাকা ছাড়ছেন অনেকে।
রাজধানীর গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে আজ শুক্রবার গিয়ে দেখা যায়, ভিড় কিছুটা কম। এর মধ্যে যাঁরা সেখানে ভিড় করছেন, বেশির ভাগই ঢাকা ছাড়ছেন। ঢাকায় ঢোকার লোকের সংখ্যা কম। সারা দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন রাখতে চারপাশের জেলাসহ সাতটি জেলা ২২ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত লকডাউন দেওয়া হয়েছে।
গাবতলীর বিআরটিসি বাস ডিপোর সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই মো. কালাম নামের একজন এসে জিজ্ঞেস করলেন, গন্তব্য কোথায়। ঢাকা ছাড়ার উপায় সম্পর্কে পাল্টা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবই সম্ভব। গাড়িতে জনপ্রতি ৫০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। পাটুরিয়া ঘাটে পৌঁছে দেবেন। মানিকগঞ্জে লকডাউন চলছে, তাহলে কীভাবে যাওয়া যাবে? মো. কালাম বলেন, মেইন রোড দিয়ে গাড়ি যাবে না। সিঙ্গাইর দিয়ে গাড়ি ঢুকবে। আর পুলিশ ধরলেও ম্যানেজ করা যায়।
মো. কালামের নিজেরই একটি পুরোনো গাড়ি আছে। অন্যান্য সময়ে রেন্ট এ কারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করেন। লকডাউনের এ সময়টাতে বাস না চললেও অন্য পরিবহনে সমস্যা হয় না জেনে তিনি গাড়ি নিয়ে গাবতলী চলে এসেছেন। দিনে সবকিছু বাদ দিয়ে তিন হাজার টাকার মতো থাকে বলে জানান।
গাড়ি একজনের হলেও সেখানে কয়েকজন দাঁড়িয়ে থাকেন, যাঁদের কাজ হচ্ছে হাঁক ছেড়ে যাত্রী ডেকে দেওয়া। তাঁদেরই একজন শাহাব মিয়া। দূরপাল্লার বাসের কর্মচারী হিসেবে তিনি কাজ করেন। তিনিই ‘ঘাটে ৫০০’ বলে হাঁক ছেড়ে যাত্রী ডাকছিলেন।
লকডাউনে কাজ না থাকায় তিনি অন্য পরিবহনের জন্য যাত্রী ডেকে দেওয়ার কাজ করছেন। শাহাব জানান, গাড়ি ডেকে দেওয়ার বিনিময়ে দিনে তিন থেকে পাঁচ শ–এর মতো পান।
সাইফুল করিমের পরিবার কুষ্টিয়া যাবে। পাঁচজন মিলে তাঁরা গাদাগাদি করে একটি ব্যক্তিগত গাড়ি ভাড়া করে চলে গেলেন। সাইফুল বলেন, করোনার মতো লকডাউনও এখন গা সওয়া হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত