গাজায় কী ঘটছে বিশ্ববাসী এখন কমই জানতে পারবে: এপি প্রধান
ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড গাজার একটি বহুতল ভবন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে ইসরাইল। সেই ভবনটিতে অ্যাসোটিয়েটেড প্রেসের ব্যুরো ও আলজাজিজার কার্যালয় ছাড়াও আরও কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের অফিস ছিল।
এ ছাড়া বহুতল ভবনটিতে অ্যাপার্টমেন্টসহ বিভিন্ন অফিস ছিল বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। খবরে বলা হয়েছে, হামলার পরে ভবনটির টুকরো হাওয়ায় উড়তে থাকে।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গ্যারি প্রুইট বলেন, সংস্থাটির সবকর্মী ও ফ্রিল্যান্সারদের নিরাপদে ভবন থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা খুবই ব্যথিত ও আতঙ্কিত যে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী এপি ব্যুরো এবং অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের ব্যবহৃত একটি ভবন হামলার লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে এবং ধ্বংস করে দিয়েছে। এটি অবিশ্বাস্য বিরক্তিকর পরিস্থিতি। অল্পের জন্য আমরা প্রাণে রক্ষা পেয়েছি। এতে গাজায় এখন কী ঘটছে, তা নিয়ে বিশ্ববাসী খুব কমই জানতে পারবেন।
কী ঘটেছিল, সে সম্পর্কে ইসরাইলি সরকার থেকে তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে এপি। এ ছাড়া যা ঘটেছিল, সে সম্পর্কে আরও জানতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী আলজাজিরার এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, ভবনটিতে পরপর তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। এপরই সব ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়।
গাজার অফিসটিতে ১১ বছর ধরে কাজ করা আলজাজিরার সাংবাদিক সাফাওয়াত আল খালুত তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলছেন, দুই সেকেন্ডের মধ্যেই ভবনটি মাটির সঙ্গে মিশে যায়। তিনি বলেন, আমি ১১ বছর ধরে সেখানে কাজ করছি। আমি অনেক ঘটনা ভবনটি থেকে কাভার করেছি, আমরা ব্যক্তিগত পেশাদার জীবন যাপন করেছি, দুই সেকেন্ডের মধ্যে এখন সবকিছুই হারিয়ে গেল।
টানা ষষ্ঠ দিনের মতো ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত ১৪০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন হাজারের বেশি মানুষ। পাশাপাশি বহু ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে শনিবার ১৩ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল। এর মধ্যে এক পরিবারের ১০ সদস্য রয়েছে। যাদের আটজন শিশু ও দুইজন নারী।
অপরদিকে হামাসের রকেট হামলায় এ পর্যন্ত ৯ জন ইসরাইলি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন সেনাবাহিনীর সদস্য রয়েছে।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত