বগুড়ার শেরপুরে অবৈধভাবে বিএডিসি’র সেচ যন্ত্রের অনুমোদনের চেষ্টার অভিযোগ
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) বগুড়ার ধুনট উপজেলা সেচ কমিটি ও কতিপয় কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে অবৈধভাবে বিদ্যুৎচালিত সেচযন্ত্রের অনুমোদনের চেষ্টা করছে প্রতিপক্ষরা। নিয়ম বর্হিভূতভাবে অবৈধ সেচযন্ত্রের অনুমোদন বন্ধের দাবী জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক প্রান্তিক কৃষক।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর ) দুপুর ১২টার দিকে বগুড়ার শেরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন কৃষক সুলতান খান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ধুনট উপজেলার ছাতিয়ানী গ্রামের আমি একজন প্রান্তিক কৃষক। ২০২০ সাল থেকে বিএডিসি’র উপজেলা সেচ কমিটি কর্তৃক ৬৪/২০ এবং ৬৫/২০নং লাইসেন্সপ্রাপ্ত হয়ে বিদ্যুতচালিত সেচযন্ত্র পরিচালনা করে আসছি। সেচ প্রকল্পটি বর্তমানে ছাতিয়ানী মৌজার, জেএলনং-৮৮, দাগ- ৫৯১/১৬৯, খতিয়ান ১৩৭০ এ অবস্থান করে প্রায় ৬০/৬৫ বিঘা জমিতে সেচকার্য করে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি ছাতিয়ানী গ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে মোঃ মাহমুদ আলম মুন্সী, আমার সেচ কমান্ডিং এরিয়ার মধ্যে নতুন সেচযন্ত্র বসানোর পায়তারা করছে।
বিএডিসি’র সেচ ব্যাবস্থাপনা আইন অনুযায়ী সরকার অনুমোদিত সেচযন্ত্র থেকে প্রায় ৮২০ মিটারের মধ্যে নতুন কোন সেচযন্ত্র বসানোর সুযোগ নেই। কিন্তু মাহমুদ আলম মুন্সী একটি কুচক্রী মহলের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভূল বুঝিয়ে ও ম্যানেজ করে আমার সেচযন্ত্র থেকে ২০০ ফুট দুরত্বে নতুন সেচযন্ত্র অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছেন বলে অবগত হয়েছি।
ইতিমধ্যেই ওই স্থানে সেচযন্ত্র বসানোর জন্য একটি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে এবং পানি গড়ানোর জন্য ড্রেন তৈরী করা হয়েছে। সেখানে অবৈধভাবে নতুন করে সেচযন্ত্র স্থাপন করলে আমার সেচ এলাকায় চাষাবাদ চরম ঝুকিতে পড়বে। এমতাবস্থায় সরেজমিনে তদন্ত করে আমার সেচযন্ত্র এলাকার মধ্যে নতুন করে সেচযন্ত্রের অনুমোদন না দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএডিসি(সেচ) এ প্রকল্প কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান বলেন, নিয়মের বাহিরে গিয়ে কেউ সেচযন্ত্র বসাতে পারবেনা। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত