নেইমারের জায়গা পূরণে যেসব অপশন আছে তিতের
সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ইনজুরিতে পড়েছেন নেইমার জুনিয়র। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে পারবেন না তিনি। দলের দ্বিতীয় ম্যাচের আগে কোচ তিতের ভাবতে হচ্ছে নেইমারের বিকল্প। কষতে হচ্ছে নতুন ছক। মাথায় রাখতে হচ্ছে ডিফেন্ডার দানিলোর খেলতে না পারার বিষয়ও। ওই দুই জায়গা পূরণে বেশি কিছু অপশন আছে কোচ তিতের হাতে।
সুইসদের বিপক্ষে নেইমারের নাম্বার টেন বা প্লে মেকিং পজিশনে সেরা অপশন ভাবা হচ্ছে রদ্রিগো গোয়েসকে। রিয়াল মাদ্রিদে তিনি চলতি মৌসুমে লেফট ব্যাক, রাইট ব্যাক, সেন্ট্রাল ফরোয়ার্ড পজিশনে খেলেছেন। কোচ কার্লো আনচেলত্তির কৌশলের নতুনত্বে ট্রাম কার্ড তিনি। নেইমারের পজিশনে রদ্রিগোকে রেখে সার্বিয়া ম্যাচের মতো ছকেই একাদশ সাজাতে পারেন তিতে। রাইট ব্যাক দানিলোর জায়গায় খেলাতে পারেন দানি আলভেসকে।
এই কৌশলে অন্য একটি হিসাব আছে। ৩৯ বছরের দানি আলভেস সুইজারল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে পেরে উঠবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে। সেজন্য তার ব্যাক আপ খেলোয়াড় দরকার হতে পারে। দানি আলভেসকে কভার দেওয়ার জন্য ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে কাসেমিরোর পাশাপাশি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফ্রেডকে একাদশে রাখতে পারেন কোচ তিতে।
ফ্রেড শুরুর একাদশে থাকলে নাম্বার টেন পজিশন অর্থাৎ নেইমারের জায়গায় রদ্রিগো নয় খেলানো হতে পারে লুকাস পাকুয়েতাকে। কারণ মিডফিল্ডার পাকুয়েতা দুই-তিন বছর ধরে ব্রাজিলের প্রজেক্টের অংশ। পূর্বে তিনি প্লে মেকার পজিশনে খেলেছেন। ২০১৯ সালের কোপা আমেরিকায় নেইমারের ইনজুরিতে নাম্বার টেন তিনিই পরেছিলেন।
অন্য একটি অপশন হলো রাইট ব্যাকে রিয়াল মাদ্রিদে খেলা সেন্ট্রাল ডিফন্ডার এদের মিলিতাওকে খেলানো। ওই পজিশনে মিলিতাওকে পরীক্ষা করে দেখেছেন তিতে। তরুণ ডিফেন্ডার আস্থাও দেখিয়েছেন। কোচ আক্রমণাত্মক মিডফিল্ড খেলাতে চাইলে দানিলোর জায়গায় মিলিতাওকে রেখে মিডফিল্ডে রদ্রিগো ও পাকুয়েতা দু’জনকেই রাখতে পারেন।
মিডফিল্ডার ব্রুনো গিমারেজও শুরুর একাদশে ঢুকতে পারেন। ব্রাজিলের নিয়মিত মিডফিল্ডারদের মধ্যে সবচেয়ে ফর্মে থেকে বিশ্বকাপে এসেছেন ব্রুনো। সেন্ট্রাল ডিফেন্সে কাসেমিরোর পাশে বাঁ-পায়ের মিডফিল্ডার হওয়ায় ফ্রেড কিছুটা এগিয়ে। কিন্তু ব্রুনো নামলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এর বাইরে গ্যাব্রিয়েল জেসুসকে নিয়েও কোচ তিতে ছক কষতে পারেন।
ম্যাচের আগের দিন ব্রাজিলিয়ান তারকা কাসেমিরো সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নেইমারের জায়গায় রদ্রিগো ও পাকুয়েতার কথাই বলেছেন, ‘সিদ্ধান্ত নেবেন কোচ। রদ্রিগো অসাধারণ এক খেলোয়াড়। চোখের সামনে তাকে বেড়ে উঠতে দেখেছি। ঈশ্বর তাকে ফুটবল খেলার প্রতিভা দিয়েছেন। সবচেয়ে উন্নতি করেছে পাকুয়েতা। সে সৃজনশীল, আধুনিক ফুটবলার।’
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত