খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিতে হলে যা করতে হবে, জানালেন আইনমন্ত্রী
করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অনেকটা স্থিতিশীল। তবে এখনো তিনি রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) আছেন। সোমবার (৩ মে) ভোরের দিকে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর বিকালে তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়।
এদিকে খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার ব্যাপারে ফের আলোচনা শুরু হয়েছে। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে চায় পরিবার। বিদেশ নেওয়ার অনুমতি চেয়ে সোমবার রাতে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কাদার ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করেন। তারা খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
এরমধ্যে মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে দেখতে যান মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে তিনি প্রায় ১ ঘণ্টা ছিলেন। জানা গেছে, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আরও যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে এ ব্যাপারে সবুজ সংকেত পেলেই পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হবে।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে খালেদা জিয়া বা তার পরিবার সরকারের কাছে কোনো আবেদন করা হয়নি। খালেদা জিয়াকে পরবর্তী কোনো সুবিধা নিতে হলে আদালতের মাধ্যমেই আসতে হবে।
জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বিদেশে যেতে বা বিদেশি চিকিৎসা নিতে পারবেন না- সরকারের দেওয়া সেই শর্তটি শিথিল করলে খালেদা জিয়ার বিদেশে যেতে আইনগত কোনো বাধা থাকে না। এটা নির্ভর করছে একেবারেই সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর। কিন্তু এখনো বিএনপি বা খালেদা জিয়ার পরিবারের তরফ থেকে এরকম কোনো আবেদন পাইনি।
অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অনুমতির বিষয়ে পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। কারণ সরকার খালেদা জিয়াকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছে। সরকারই এই শর্ত শিথিল করতে পারবেন। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকারই বলবে তারা আদালতে যাবেন না কি করবেন।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত