সোনারগাঁয়ে পলিথিন জাকিরের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও হয়রানি বন্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারকলিপি

| আপডেট :  ০৯ মে ২০২৩, ০৫:৫৭  | প্রকাশিত :  ০৯ মে ২০২৩, ০৫:৫৭

আল আমিন কবির, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পলিথিন জাকিরের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও হয়রানী বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ মে) দুপুরে অত্র ইউনিয়নের সকল ইউপি সদস্যবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ান-উল- ইসলামের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর এ স্বারকলিপি প্রদান করেন।

স্বারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন, সোনারগাঁ উপজেলার কান্দারগাঁও গ্রামের মোনতাজ উদ্দিনের ছেলে জাকির হোসেন। বেঁচে থাকার তাগিদে একসময় মাছ বাজারে পলিথিন ব্যাগ বিক্রি করত বলে সবাই তাকে ‘পলিথিন জাকির’ নামেই চেনে। পরে মেঘনা ঘাটে হকারির পাশাপাশি এলাকায় বালু ভরাট ও দালালি করে ‘সোনারগাঁ রিসোর্ট সিটি’ নামে একটি আবাসন প্রকল্পের জমি ক্রয় ও বালু ভরাটের দায়িত্ব পেয়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠে।

স্থানীয় উপজেলা যুবলীগের হাত ধরে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পদটি ভাগিয়ে নেয় সে। যুবলীগের নাম ভাঙিয়ে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে জাকির এর পর থেকেই শুরু হয় তার দখল বানিজ্য। সাধারণ মানুষের জমি দখল, ভুয়া দলিলে জমি বিক্রি এবং বালু ভরাটের টেন্ডারবাজি করার পর তাকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি । জাকিরের সন্ত্রাসী বাহিনীর সৈকত হোসেন,মিজানুর রহমান,সজীব মিয়া,কাইল্যা শাহ আলী, ও শাহীন হোসেনের নেতৃত্বে মেঘনা নদীতে চলাচলরত বিভিন্ন নৌযান থেকে চাঁদাবাজি, মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসীমূলক কার্যকলাপ করে থাকে। এই সব কর্মকান্ডের প্রতিবাদে এলাকাবাসী কয়েকবার মানববন্ধন করলেও কোনো প্রতিকার পায়নি।

এতে আরও উল্লেখ আছে, দুটি হত্যা ও নৌ- চাঁদাবাজিসহ প্রায় ডজনখানেক মামলার আসামি এই পলিথিন জাকির, ২০১২ সালে রিপন হত্যা, ২০১৪ সাথে সাধন হত্যা ও ২০১৫ সালে গোলজার হত্যায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। ২০১৮ সালের ৩ জানুয়ারি খুন হয় জাকিরের সকল অপকর্মের সাক্ষী ভাগিনা মোহাম্মদ আলী। ভাগিনা মোহাম্মদ আলী হত্যার মামলার ভয় দেখিয়ে সে কোটি টাকার বাণিজ্য করে।

বৈদ্যের বাজার এলাকার খেয়াঘাটে ‘মেসার্স পিয়াল এন্টারপ্রাইজ’ নামে বৈদ্যের বাজার থেকে মেঘনা ঘাট পর্যন্ত ইজারা নেয় সে। অতিরিক্ত চাঁদাবাজির কারণে তার ইজারা বাতিল করা হলে ‘কান্দারগাঁও ও যুব কল্যাণ সমিতি’র নামে আবারও ইজারা নেন। একই অভিযোগে তাও বাতিল হলে পুনরায় ইজারা পায় কান্দারগাঁও গ্রামের একতা সংঘের সভাপতি আমজাদ হোসেন। কিন্তু ইজারার নিয়ন্ত্রণ থাকে জাকিরের হাতেই। ইজারা বাতিল হলেও জোরপূর্বক নৌপথে চাঁদাবাজি থামাতে পারেনি কেহ। সোনারগাঁ উপজেলায় নৌপথের চাঁদাবাজির একচ্ছত্র অধিপতি এই পলিথিন জাকির।

এ সব অরাজকতা বন্ধে ও তার বিচারের দাবীতে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের নির্বাচিত সকল ইউপি সদস্যবৃন্দ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনায় তাদের স্বাক্ষরিত স্বারকলিপি প্রদান করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ান উল ইসলাম জানান, জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে পিরোজপুর ইউনিয়নের নির্বাচিত ইউপি সদসস্যদের স্বারকলিপি গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসককে অবগত করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত