1.  প্রচ্ছদ
2.  জেলার খবর
3.   সায়েদাবাদ টার্মিনাল সরছে কাচপুরে, জেলার বাস ঢাকায় ঢুকবে না

রাজধানীর যানজট কমাতে সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল কাচপুরে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এজন্য কাচপুরে ভূমি উন্নয়নের কাজ চলছে। টার্মিনালের নির্মাণকাজ শেষ হলে আন্তঃজেলা রুটের কোনো বাস সায়েদাবাদে আসবে না। এছাড়া ঢাকায় স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক ব্যবস্থা চালু করতে ৫৩টি সিগন্যালে অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। মঙ্গলবার ডিএসসিসির নগর ভবনে মেয়র হানিফ মিলনায়তনে ‘উন্নতত ঢাকার উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় ৩ বছর’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এসব কথা বলেন।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘আন্তঃজেলা বাসের চাপ কমাতে আমরা ঢাকা থেকে বাস প্রান্ত সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। এরই অংশ হিসেবে কাচপুরে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল তৈরির জন্য ভূমি উন্নয়ন কাজ চলছে। টার্মিনাল নির্মাণ হলে সায়েদাবাদে আর কোনো বাস আসবে না। এছাড়া কেরানীগঞ্জের বাঘাইরে আরও একটি বাস টার্মিনাল নির্মাণেও কার্যক্রম চলমান আছে।’

মেয়র তাপস বলেন, ‘হাত তোলা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হলেও ঢাকা মেগাসিটি কখনই সঠিক দিশা খুঁজে পায়নি। কিন্তু সে করালগ্রাস আমরা ভেঙে দিতে চাই। ৫৩টি চৌরাস্তায় ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সংকেত স্থাপনের লক্ষ্যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের ডিপিপি তৈরির কাজ চলছে।’

মেয়র বলেন, ‘বেড়িবাঁধ সড়কের রায়েরবাজার স্লুইস গেইট থেকে পোস্তগোলা সেতু পর্যন্ত সড়কটি ৮ লেইনে প্রশস্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত ১৬ এপ্রিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যাচাই কমিটির বৈঠকে এ প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে।’

শেখ ফজলে নুর তাপস বলেন, ‘বাংলাদেশের সব সরকারি সংস্থা, সরকারি অধিদপ্তর যা আছে, তার মধ্যে একমাত্র ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সবচেয়ে দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ডিএসসিসিতে দুর্নীতি কমেছে এবং রাজস্ব আয় বেড়েছে। একইসঙ্গে নানা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি উদ্ধার করা হয়েছে। বিগত তিন বছরে আমরা কোনো খাতে কর বৃদ্ধি করিনি। এ সময় ২৫টি নতুন খাত সৃষ্টি করা হয়েছে এবং চৌদ্দটি নতুন খাত থেকে আমরা রাজস্ব আদায় শুরু করেছি। ফলে করোনা মহামারির মতো বৈশ্বিক সংকটের মাঝেও রাজস্ব আদায়ে ডিএসসিসি ইতিহাস সৃষ্টি করে চলেছে।’

সংবাদ সম্মেলনে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামানসহ ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।