ছেলের বিরুদ্ধে পিতার মামলা:তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ডিআইজি বরাবরে অভিযোগ
কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ কানাইঘাট সাতবাঁক ইউনিয়নের লালারচক গ্রামে প্রবাস ফেরত বৃদ্ধ পিতাকে বেদড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত সহ অলিখিত ৩টি ননজুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক ভাবে স্বাক্ষর নেয়ার ঘটনায় আপন পুত্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পরও পুলিশ আসামীকে গ্রেফতার করছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় লালারচক গ্রামের তোয়াহির আলীর পুত্র আনিছুল হক মুছব্বির (৬৪) বাদী হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কানাইঘাট থানার এস.আই মাসুম আলমের বিরুদ্ধে পক্ষপাত মূলক বেশ কিছু অভিযোগ এনে পুলিশের সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি বরাবরে দরখাস্ত দায়ের করেছেন।
দরখাস্তে আনিছুল হক মুছব্বির উল্লেখ করেছেন, তিনি টানা ৪০ বৎসর মধ্যপ্রাচ্যে প্রবাসে ছিলেন। ২০২০ সালে বেকার অবস্থায় দেশে আসার পর তার ছেলে নুরুজ্জামান কারনে-অকারনে তাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে তাহার নামীয় সমূহ সম্পত্তি লিখিয়ে দেয়ার জন্য চাপসৃষ্টি করে আসছিল। বিগত ২৩/০৫/২০২৩ইং তারিখে ছেলে নুরুজ্জামান তার পিতা আনিছুল হক মুছব্বিরকে গুরুতর জখম করে নগদ ১,৪৩,০০০/- টাকা এবং অলিখিত ৩টি ননজুডিয়াল স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক ভাবে স্বাক্ষর নিয়ে জমির যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় আনিছুল হক সিলেটের বিজ্ঞ আদালতে ০৬/০৬/২০২৩ইং তারিখে ছেলে নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে দরখাস্ত মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত দরখাস্ত মামলাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করে আসামীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কানাইঘাট থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে থানা পুলিশ ১১/০৬/২০২৩ইং তারিখে মামলা রেকর্ড করেন, থানার মামলা নং- ০৮।
ডিআইজি বরাবরে দায়েরকৃত দরখাস্তে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, আদালতের আদেশ থানায় আসলে মামলার রেকর্ডিং কর্মকর্তা ইচ্ছাকৃত ভাবে ভুল এলাকা উল্লেখ করে মামলা এফআইআর করেন। মামলার বাদী আনিছুল হক মুছব্বির এর বাড়ী ৪নং সাতবাঁক ইউনিয়নে হলেও এফআইআর এ ঘটনাস্থল ৯নং রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের লালারচক গ্রামে উল্লেখ করা হয়। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই মাছুম আলমের দায়িত্ব পেলেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন কিংবা মামলার আসামী নুরুজ্জমানকে গ্রেফতার করেননি। এমনকি অত্র মামলার আলামত উদ্ধারে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।
বাদী কয়েকবার স্বশরীরে মামলার তদন্তে সহযোগিতা করতে চাইলে এস.আই মাছুম আলম তার সাথে বার বার দুর্ব্যবহার করে তাড়াইয়া দেন এবং যোগাযোগ না করার জন্য রুঢ় ভাসায় গালিগালাজ করেন। আসামী এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করিতেছে এবং পুলিশের সাথে যোগাযোগ করতঃ আইন বর্হিভ‚ত সম্পর্ক তৈরি করে ইচ্ছাকৃত ভাবে এফআইআর এর ঘটনাস্থলে ভুলতথ্য সংযুক্ত করেন।
এমতাবস্থায় দরখাস্তের বাদী আনিছুল হক মুছব্বির মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন সহ তার ছেলে নুরুজ্জামানকে দ্রুত গ্রেফতার করার জন্য পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এস.আই মাছুম আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আনিছুল হক মুছব্বির আদালতে ছেলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দায়ের করেছেন আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মামলার তদন্ত করে চার্জশীট বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করেছি। মামলার বাদী যে অভিযোগ এনেছেন তা সত্য নয় বলে জানান।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত