বিপিএলের মঞ্চে উনিশের যে ক্রিকেটাররা
এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে পাদপ্রদীপের আলোয় আসেন ইকবাল হোসেন ইমন, আজিজুল হাকিম তামিমরা। তারা বয়সে তরুণ হলেও খেলেছেন বড়দের মতো। উনিশের ওয়ানডে টুর্নামেন্টে এশিয়ার সেরা হওয়ায় তাদের ভাগ্যের শিকেও ছিঁড়েছে। বিসিএল টি২০ টুর্নামেন্টের পর বিপিএল টি২০ টুর্নামেন্টেও খেলতে পারেন অনূর্ধ্ব-১৯-এর চার ক্রিকেটার।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ তৈরি হয়েছে এশিয়া কাপজয়ী দলের ৮ থেকে ৯ জন ক্রিকেটারের। ইমন, তামিমের বিপিএলে খেলা নিশ্চিত হয়ে গেছে। ফরচুন বরিশাল নিয়েছে ইমনকে, রংপুর রাইডার্সে খেলবেন তামিম। জাওয়াদ আবরারকে খুলনা টাইগার্স আর আল ফাহাদের সঙ্গে সিলেট স্ট্রাইকার্স চুক্তি করতে পারে।
এশিয়া কাপের পারফরম্যান্স দেখে বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো বিসিবি গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পছন্দের ক্রিকেটার দলে পেতে। এনসিএল টি২০ দলের কোচদেরও চোখ ছিল যুবাদের ওপর। তামিম, ইমন, জাওয়াদ, ফাহাদের এনসিলে খেলার সুযোগও হয়েছিল। টুর্নামেন্টজুড়েই খুব ভালো খেলেছেন তামিম। খুলনা বিভাগের হয়ে ৯ ম্যাচ খেলে ২৩৭ রান করেন তিনি। ফিফটিও আছে দুটি (৫৩ ও ৬৬)।
পেসার ইমন ঢাকা বিভাগের হয়ে ছয় ম্যাচ খেলে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন। সেরা পারফরম্যান্স রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষে ২৬ রানে তিন উইকেট। ঢাকা বিভাগে খেলেছেন ওপেনার জাওয়াদও। তিন ম্যাচ খেলা জাওয়াদের ইনিংসগুলো হলো ১১, ৬২ ও ৩২ রানের। ঢাকা মেট্রোতে খেলা আল ফাহাদ ম্যাচ পেয়েছেন একটি। এভাবেই ক্রিকেটের সব শাখায় বিচরণ করছেন জাতীয় দলের ভবিষ্যৎ খেলোয়াড়রা।
ইয়ুথ ক্রিকেট লিগে তিন দিনের ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে তাদের। বিদেশি দলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে ওয়ানডে ম্যাচের পাশাপাশি চার দিনের ম্যাচও খেলেন তারা। চর্চায় ছিল না শুধু টি২০ খেলা। স্বল্পসংখ্যক হলেও টি২০ খেলার স্বাদ পেয়েছেন।
বিসিবি কর্মকর্তারা চান, বিপিএলেও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটারদের কোটা রাখতে। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল বিভাগীয় ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম মানব বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি অনূর্ধ্ব-১৯ দলের খেলোয়াড়দের সব দলে নেওয়া ও খেলানোর একটা ব্যবস্থা করার। গভর্নিং থেকে বিষয়টি অনুমোদ দিলে সুবিধা হয়। সে ক্ষেত্রে দেশি ক্রিকেটার ১৫ জন করা হতে পারে।’
বিসিবি গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগও চেষ্টা করছে বড়দের ক্রিকেটে যুবাদের বেশি বেশি সম্পৃক্ত করার। গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ব্যবস্থাপক আবু ইমাম মো. কাউসার বলেন, ‘ছেলেদের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার সুযোগ করে দিতে স্লট সাজিয়েছি। ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বিদেশি দলের সঙ্গে কোনো সিরিজ রাখা হয়নি। যাতে করে ছেলেরা বিপিএল ও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলতে পারে। তিন চারজন আছে প্রথম বিভাগে খেলবে। ওয়াইসিএলেও খেলবে কয়েকজন। আগামী বছর মে, জুন থেকে স্কোয়াড চূড়ান্ত করে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু হবে।’
এ মুহূর্তে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বিপিএলের মাধ্যমে বৈশ্বিক ক্রিকেটারদের সঙ্গে যুবদলের ক্রিকেটারদের পরিচিত করা। প্রতিটি দলে এক বা একাধিক ক্রিকেটার থাকলে ড্রেসিংরুম শেয়ারের পাশাপাশি খেলার উত্তাপটা পাবেন ইমনরা। মারুফ মৃধা আগেই বিপিএলে দল পেয়েছেন। যদিও বয়সের কারণে ১৯ দলে আর থাকছেন না তিনি।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত