পাকিস্তান যে অন্যায় করেছিলো তা ক্ষমা করে দিতে হবে: ডা. জাফরুল্লাহ

| আপডেট :  ২২ মে ২০২১, ০৫:৪০  | প্রকাশিত :  ২২ মে ২০২১, ০৫:৪০

সকল নির্যাতনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা। গতকাল শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘ন্যাশনাল সলিডারিটি ফর ফ্রি প্যালেস্টাইন’ এর উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

ফিলিস্তিনের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সংহতি জানিয়ে চিঠি দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এটাই প্রকৃত কথা নয়, এজন্য আপনাকে ফিলিস্তিনদেরকে সামরিক অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে। কূটনৈতিক তত্পরতা বাড়াতে হবে। পাকিস্তান আমাদের প্রতি যে অন্যায় করেছিলো সে জন্য তাদেরকে ক্ষমা করে দিতে হবে। তাদেরকে (পাকিস্তান) সহ তুরস্ক, আফগানিস্তান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ সকলকে নিয়ে কূটনৈতিক তত্পরতা চালাতে হবে। বাংলাদেশে ১০ হাজার লোককে সামরিক ট্রেনিং দিয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে যুদ্ধে পাঠাতে হবে। একই ভাবে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে কাশ্মীরের জন্য এবং ভারতে মাওবাদীরা আন্দোলন করছে তাদেরকে সমর্থনের জন্য। আমরা যদি এটা না করি তাহলে বঙ্গবন্ধুকে অপমান করা হবে। কারণ বঙ্গবন্ধুর সংবিধানে পরিষ্কার ভাবে লেখা রয়েছে, যেকোনো জায়গায় অধিকারের জন্য সংগ্রাম চলবে তাদেরকে সাহায্য করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমি প্যালেস্টাইনের জনগণের লড়াইয়ের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করছি। অনেকেই আছেন ধর্মীয় কথা বলেও সামাজ্যবাদের পা চাটে। এর মধ্যে অনেকেই আছেন সাহস করে করে কথা বলেন না বা বলতে চান না। আমাদের আরো সাহসী হতে হবে। সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মে. জে. (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ফিলিস্তিনে মানুষ যারা প্রতিদিন ইসরাইলের হাতে নির্যাতন নিপীড়নের শিকার তাদের পক্ষে সংহতি জানানোর জন্যই আজকের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। আমরা বাংলাদেশের মানুষ প্যালেস্টাইনের নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের পক্ষে আছি। আমরা এই সভার আয়োজন করেছি নির্দলীয় ভিত্তিতে, জাতীয় আবেদনে।
সাবেক তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন বলেন, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু নিজেকে একক নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতেই গাজায় এই নির্লজ্জ হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে। ইসরাইল কোন রাষ্ট্র নয়, একটা যুদ্ধ মেশিন। একে যুদ্ধের মাধ্যমেই শেষ করতে হবে।

সাবেক গণফোরাম নেতা ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, অনেক বছর যাবত্ এই অন্যায় চললেও সমস্যা সমাধানের কোন উদ্যোগ নেই। কিন্তু এবার কিছুটা আশার আলো দেখছি। কারণ সারা বিশ্বে সাধারণ বিবেকবান মানুষ পালেস্টাইনের পক্ষে দাঁড়িয়েছি। খোদ যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ এমনকি কিছু ডেমোক্রেট কংগ্রেস ম্যানও ইজরাইলের নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে।

সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান লে. জে. (অব.) নুরুদ্দিন খান বলেন, ইসরাইলের এক তরফা আক্রমণ অত্যন্ত জঘন্য অপরাধ। এই মানবতা বিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, প্যালেস্টাইনবাসীর সকল অধিকার হরণের প্রতিবাদে আমাদের সোচ্চার ভূমিকা রাখতে হবে।

সাবেক ছাত্রনেতা মজিবুর রহমান মঞ্জু সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে শিক্ষক প্রফেসর ড. দিলারা চৌধুরী, একুশে পদক প্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু ড. সুকোমল বড়ুয়া, সামরিক বিশেষজ্ঞ মে. জে. (অব.) ফজলে এলাহী আকবর, কমরেড খালেকুজ্জামান আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাত্, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান এএফএম সোলায়মান চৌধুরী, প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, সঙ্গীত শিল্পী হায়দার হোসেন, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর প্রমুখ।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত