নেতৃত্বহীন চলছে কৃষক দল
দীর্ঘ ২২ বছর পর বিএনপির অন্যতম অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের চতুর্থ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১২ মার্চ। কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট জটিলতা প্রকট আকার ধারণ করায় নেতৃত্বহীন চলছে কৃষক দল। সম্মেলনের প্রথম পর্বেই কমিটি ভেঙে দেওয়া, যোগ্য নেতা না পাওয়াকে কেন্দ্র করে এ জটিলতা তৈরি হয়েছে। এর সমাধানও পাচ্ছেন না বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। এ কারণে প্রায় তিন সময় পার হলেও কৃষক দলের কমিটি এখনো ঘোষণা করা যায়নি।
এ বিষয়ে বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বিডি২৪লাইভকে বলেন, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কারনে আমাদের সকল ধরনের স্থগিত রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সব দিক বিবেচনা করে যোগ্য ত্যাগীদের সমন্বয় করে কমিটি দেবেন।
জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু বিডি২৪লাইভকে বলেন, জাতীয় নানান সমস্যার মধ্যে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় একটু লেনদি হচ্ছে। নানান ঘটনায় এটা আপতত আলোচনায় নেই। তবে সামনে ঈদুল আজহার পূর্বেই যাতে কমিটি হয় সেই জন্য চেষ্টা চলছে।
দীর্ঘ ২২ বছর পর গত ১২ মার্চ সকালে কৃষক দলের জাতীয় সম্মেলনের প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয় গুলিস্তান মহানগর নাট্যমঞ্চে। সেখানে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। নেতা নির্বাচন অর্থাৎ দ্বিতীয় পর্ব হয় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে। সেখানে কাউন্সিলর ছিলেন ৫৪৮ জন। এর মধ্যে ৭৯টি সাংগঠনিক জেলার ৩৯৫ জন এবং কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির ১৫৩ জন। কিন্তু কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির কাউন্সিলররা এ পর্বে প্রবেশ করতে গেলে ‘আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে’ যুক্তি দিয়ে তাদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। এ বাধা দেওয়ার নেতৃত্বে ছিলেন সংগঠনের বিলুপ্ত কমিটির সদস্য সচিব হাসান জাফির তুহীনের অনুসারীরা। বিষয়টি কৃষক দলের বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জানালে পুরো ‘প্রতারণা’ ধরা পড়ে। যদিও তুহীনের দাবি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে দলের মহাসচিব কমিটি বিলুপ্ত করেছেন।
কমিটি গঠন বিষয়ে হাসান জাফির তুহীন বিডি২৪লাইভকে বলেন, এখন ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) অসুস্থ থাকায় আপাতত কমিটি নিয়ে চিন্তা করা হচ্ছে না। তা ছাড়া করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সব ধরনের সাংগঠনিক কার্যক্রম এখন বন্ধ রয়েছে।
দলের গুরুত্বপূর্ণ এক নেতা বলেন, কমিটি নিয়ে নতুন নতুন চিন্তা ভাবনা চলছে। একটা চিন্তা হচ্ছে দুদু ও তুহীনকে রেখে বা উভয়কেই বাদ দিয়ে কমিটি করার। আরেকটি চিন্তা হচ্ছে, কৃষিকাজে যুক্ত কোনো বিএনপি নেতাকে সভাপতি করে সঙ্গে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কাউকে সাধারণ সম্পাদক করা। দলের হাইকমান্ডের চিন্তা কৃষক দলকে নতুন করে ঢেলে সাজানো।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত