নেতৃত্ব ছেড়ে কৃষকের খেতে: শাহরিয়ার রাসেল শুভ্রের বিরল দৃষ্টান্ত
ইস্পাহানী ইমরান, কেরানীগঞ্জ: যখন চারদিকে নেতা হওয়ার প্রতিযোগিতা তুঙ্গে, তখন একজন প্রতিষ্ঠিত নেতা সব কিছু ছেড়ে কৃষক হয়ে যাওয়ার ঘটনা বর্তমান যুগে বিরল। এটি যেনো মাওলানা ভাসানীর প্রতিচ্ছবি। কেরানীগঞ্জ ছাত্রদলের দুইবারের সভাপতি শাহরিয়ার রাসেল শুভ্র এমনই এক ব্যতিক্রমী উদাহরণ।
দলের দুঃসময়ে নিজের তারুণ্য এবং জীবনের মূল্যবান সময় বিলিয়ে দিয়েছেন এই নেতা। তিনি শুধু নেতা ছিলেন না, অনেকের জন্যই বিএনপি রাজনীতিতে অনুপ্রেরণার প্রতীক ছিলেন। তার সততা, দৃঢ়তা, এবং নেতৃত্বের দক্ষতা দেখে অনেক তরুণ বিএনপি রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন।
কিন্তু সময় বদলেছে। দলের সুসময়ে তিনি যেনো অবহেলিত। তার মতো দক্ষ এবং সৎ নেতার জন্য কোনো জায়গা হয়নি দলের মূলধারায়। হতাশা বা ক্ষোভের পথে হাঁটার পরিবর্তে শাহরিয়ার রাসেল শুভ্র বেছে নিয়েছেন ভিন্ন এক জীবন। সবকিছু ছেড়ে তিনি এখন একজন কৃষক।
তার এই সিদ্ধান্ত মাওলানা ভাসানীর জীবনের কথা মনে করিয়ে দেয়। নেতৃত্ব ছেড়ে ভাসানী যেমন কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, শাহরিয়ার রাসেলও তেমনটাই করেছেন। তার এই বিরল সিদ্ধান্ত আজকের তরুণ রাজনীতিকদের জন্য একটি উদাহরণ হয়ে উঠতে পারে।
তবে এ ঘটনা বিএনপির অভ্যন্তরে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে ধরছে। যখন শাহরিয়ার রাসেল শুভ্রের মতো দক্ষ এবং সৎ নেতাদের অবহেলা করা হয়, তখন নতুন প্রজন্মের কর্মীরা দলের প্রতি কীভাবে বিশ্বাস রাখবে? কার জন্য তারা দলকে নিবেদিত করবে?
উত্তর খুঁজে বের করতে হবে জনগণকেই। কারণ, রাজনীতি কেবল ক্ষমতা নয়, এটি মানুষের জন্য সেবা এবং নেতৃত্বের প্রতি আস্থা তৈরির একটি মাধ্যম।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত